সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্রকে শাসন করায় দুই কলেজ শিক্ষকের উপর রাতের আধারে অর্তকিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।  অত্র কলেজের এক ছাত্রসহ তার সঙ্গীরা তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। আহত শিক্ষকরা হলেন, ট্যাকেরঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা প্রভাষক মোখলেসুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক মুর্তজা আলী।

 


বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে ট্যাকেরঘাট রাস্তার আওয়ামীলীগ সাইনবোর্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত শিক্ষকদের স্হানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ট্যাকেরঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা ক্লাস চলাকালীন সময়ে অত্র কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির  প্রথম বর্ষের ছাত্র আলী ইদ্রিস ক্লাসে অমনোযোগী হওয়ায় তাকে ধমক ও শাসন করেন বাংলা প্রভাষক মোখলেসুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক মুর্তজা আলী। এরই জের ধরে বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই শিক্ষক ট্যাকেরঘাট বাজার থেকে বাসায় (ট্যাকেরঘাট কলোনি) ফেরার পথে ট্যাকেরঘাট রাস্তার আওয়ামী লীগ সাইনবোর্ড এলাকায় রাতের অন্ধকারে ছাত্র আলী ইদ্রিস সহ তার সঙ্গীরা এলোপাতাড়ি হামলা করে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তাদের চিৎকারে স্হানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত সটকে পড়ে। এই সংবাদ চড়িয়ে পড়লে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্য বিরাজ করছে।

ট্যাকেরঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত শিক্ষকদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি ট্যাকেরঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এইদিকে ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলেজের সাবেক,বর্তমান ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক এবং অভিভাবকরা বখাটে ছাত্র আলী ইদ্রিস সহ তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।

এঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত কলেজ শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বাদী ছাত্র আলী ইদ্রিসকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

আহত কলেজ শিক্ষক মোখলেসুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিনা বেতনে এই কলেজে শিক্ষকতা করে আসছি। বিনিময়ে ছাত্রের কাছে আজ এই প্রতিদান পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষক বাড়ি থেকে খাবার এনে কলেজে পাঠদান করে আসছি। যাতে কলেজটি সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। নামমাত্র বেতনে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতি বছর এই কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে আসছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ  ইফতেখার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত -০১