মানবিক টিম সিলেট’র তত্বাবধানে ও প্রবাসীদের সহযোগীতায় নিজস্ব ঘরে ফিরলো অগ্নিদগ্ধ নিহত সোহাদার পরিবার। শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে ফিরে তারা। এসময় মানবিক টিম সিলেট’র পক্ষ থেকে নগদ ৮১ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় সোহাদার পরিবারকে।

২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি সুমনাগঞ্জের ছাতক থেকে সোহাদা নামের একটি মেয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আগুনে পুড়া নিয়ে যন্ত্রণায় বিছানায় ছটফট করছিল। খবর পেয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক টিম সিলেট।শুরু হয় অগ্নিদগ্ধ সোহাদার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা। সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জুর সহযোগীতায় দেশ ও প্রবাসে থেকে এগিয়ে আসেন অনেকেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয় সোহাদাকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিনের মাথায় মারা যায় সে।


জানা যায়, সোহাদা ছিল সুনামগঞ্জের ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়নের হেলার মিয়ার বড় মেয়ে।তার বাবা পেশায় একজন পেশায় দিনমজুর ও মা শাহানা গৃহিণী। অসহায় এই পরিবারটির বসবাস ছিল অন্যের জায়গায়। ছিল না নিজেদের ভিটে মাটি। মানবিক টিম সিলেট’র স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে এবার সেই সোহাদার পরিবারকে জায়গা ক্রয় করে দেয়া হয়েছে পাকা ঘর তৈরি করে।

মানবিক টিম সিলেট’র প্রধান সমন্বয়ক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নায়েক মো.সফি আহমেদ(পিপিএম) বলেন, সোহাদার চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছে জমা হয়েছিল ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৯৮ টাকা।তারমধ্যে চিকিৎসা ও লাশ দাফনসহ যাবতীয় খরচ হয় ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪০০ টাকা। বাকি ৮ লক্ষ ২৯ হাজার ১৯৮ টাকার মধ্যে ঘর নির্মাণ, জায়গায় রেজিস্টারিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয় ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৯৮ টাকা। অব্যবহৃত ৮১ হাজার টাকা নগদ সোহাদার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কঠিন এই কাজটিকে সহজ করে দিয়েছেন আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী ভাই-বোনসহ দেশ বিদেশের অনেকেই।তারমধ্যে সোহাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সহযোগিতা করে।সকলের সহযোগীতায় আজ সোহাদার পরিবার পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। সোহাদার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

নগদ অর্থ তুলে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জু, মানবিক টিম সিলেট’র প্রধান সমন্বয়ক মো.সফি আহমেদ(পিপিএম), সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, মুহিবুর রহমান শোয়েব, কাজী শরিফুল ইসলাম।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/মাহি