ফাইল ছবি

আবাসন ব্যবসায় নামে প্রবাসীদের শত কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার হওয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহববুল হক শেরিনকে রিমান্ডে নিতে চায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

 


গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে তাকে শ্রীরামসিস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলে ওইদিন আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতারক চেয়ারম্যান শেরিনকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেন। 

 

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সিলেট মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।

 

তিনি বলেন- ‘তদন্ত কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ড আবেদন করেছেন। এখনো শুনানি হয়নি। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে আমরা তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’

 

 

তিনি আরও বলেন- ‘এ মামলাসহ ৪ টি মামলা রয়েছে চেয়ারম্যান শেরিনের বিরুদ্ধে। অন্যান্য মামলা তদন্ত করতে আমরা প্রধান অফিসে অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে আমরা অপর মামলাগুলো তদন্ত করবো।’

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- চেয়ারম্যান শেরিন-এর বিরুদ্ধে সিলেট নগরস্থ আম্বরখানা পয়েন্ট সংলগ্ন ‘আম্বরখানা আবাসন এসোসিয়েট প্রাইভেট লি. কোম্পানি’ নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়ে মামলার বাদীসহ বহু প্রবাসীকে কোম্পানির পরিচালক করা হবে এমন শর্তে তাদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ মামলাসহ এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় আরও ৩ টি প্রতারণার মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। মামলা দায়ের করার পর আসামি শেরিন বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে যাচ্ছেন। এসব অপরাধ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে চেয়ারম্যান শেরিনকে গ্রেফতার করতে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জগন্নাথপুরের মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে অভিযান চালান অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মোহাম্মদ রুবেল ও পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শাহ মুহাম্মদ মুবাশ্বির। এসময় নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান শেরিন গ্রেফতার হন। গ্রেফতার অভিযানে সিআইডিকে সহায়তা করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মাহি