প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা উপজেলায় যাচ্ছেন সাবেক এ ছাত্রনেতা। ক্লিন ইমেজের এ আওয়ামী লীগ নেতা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত অব্যাহত রাখছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত এ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কৃতজ্ঞতা সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

 


জানা যায়- অনুষ্ঠিতব্য সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানকে সমর্থন দেয়। এ পদে একাধিক প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশা করলেও নাসির উদ্দিনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় এ পদে দলের কেউ বিদ্রোহী হননি। আওয়ামী লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ ঠিক তখনই জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ড. এনামুল হক সর্দার নামের এক শিক্ষাবিদ চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে মনোনয়ন ক্রয় করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে প্রতীক বরাদ্দের দিন বেসরকারিভাবে তাঁকে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

 

নির্বাচিত হওয়ার পর নাসির উদ্দিন খান সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা উপজেলায় গিয়ে তৃনমূলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত বা কৃতজ্ঞতা সফর অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রথমে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় কৃতজ্ঞতা সফর করেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এক এক করে জেলার ৭ উপজেলা চষে গেছেন তিনি। সর্বশেষ সফর করেছেন জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। এতে অংশ নেন উপজেলাগুলোর সকল জনপ্রতিনিধিরা। বাকি ৬ উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার পর সফর করবেন তিনি।

 

তার এমন সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন তৃনমূলের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা তার এমন উদারতাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এর ধারা আগামীতে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান সিলেটভিউ-কে বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু কেউ এ পদে প্রার্থী হননি। বিধি অনুযায়ী আমি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হই। যদি ভোট হতো আমি সকল জায়গার ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতাম। যেহেতু ভোট হয়নি সেহেতু সকল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করা উচিত বলে আমি মনে করি। তাই তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৭ উপজেলায় গিয়েছি। আর বাকি উপজেলাগুলোতে শারদীয় দুর্গাপূজার পর যাবো।’

 

তিনি আরও বলেন- ‘আমি চাহিলে শহরে কোথাও তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারতাম। কিন্তু সেটা করি নাই। আমার ইচ্ছা ছিল প্রত্যেক পরিষদের গিয়ে দেখা করতে। কিন্তু এটা সময়সাপেক্ষ। তাই প্রত্যেক উপজেলা গিয়ে তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে যাচ্ছি।’

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মুন্না