আগামী ১৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ  সদস্য ও সংরক্ষিত পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন প্রায় অর্ধশত প্রার্থী। জেলা পরিষদে ১২টি ওয়ার্ডে তিনটি পদে নির্বাচন হলেও নির্বাচনী আলোচনায় মূখ্য বিষয় চেয়ারম্যানের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুই সহ সভাপতি। জয় পরাজয় নির্ধারণের আগ পর্যন্ত টক অব দ্যা টাউন কে হচ্ছেন আগামী ৫ বছরের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান! মুকুট না রুমেন।


চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও নেতা জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। তিনি তাঁর দীর্ঘ রাজনীতিক কর্মকাণ্ডকে নির্বাচনী লড়াইয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। 

অপরদিকে, মুকুটকে হারিয়ে জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা অওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল কবির রুমেন। চষে বেড়াচ্ছেন এ ওয়ার্ড- ও ইউনিয়ন। নক করছেন প্রতি ভোটারের দরজায়। 

তবে সাধারণ ভোটারদের মন্তব্য- ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যারাতই বলে দিবে শেষ হাসি কার, মুকুট না রুমেনের।  
 
নিজের নির্বাচনী প্রচারণা ও বিজয় নিয়ে নুরুল হুদার মুকুট বলেন, আমি বিগত পাঁচ বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছি। তৃণমূলের  জনপ্রতিনিধি আমাকে পছন্দ করেন- ভালোবাসেন। নির্বাচনী প্রচরণায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সব দলের জনপ্রতিনিধি আমার সাথে রয়েছেন। আশা করছি এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ের দ্বারা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।

এদিকে নির্বাচনে মুকুটকে হারাতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। 

বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা ব্যক্ত করে খায়রুল কবির রুমেন বলেন, দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী আমার সাথে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় বিগত ৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তোলে ধরছি। ভোটারদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ভোটাররাও সাড়া দিচ্ছেন। আমার বিজয় নিশ্চিত।

উল্লেখ্য, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রথম অংশগ্রহণ করেন নুরুল হুদা মুকুট। সে নির্বাচনে মুকুট আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। তবে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন নুরুল হুদা মুকুট। নুরুল হুদা মুকুট পান ৭৮৭ ভোট ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন পান মাত্র ৪২০ ভোট। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / শহীদনূর / এসডি/ ডালিম