বিভিন্ন দাবিতে সারা দেশে বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে দলটির গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ওই তারিখে গণসমাবেশ হবে না।

এই গণসমাবেশ বিএনপি করবে ১৯ নভেম্বর।


মূলত এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর পুলিশের জারিকৃত একটি গণবিজ্ঞপ্তির কারণে তারিখ বদলাতে বাধ্য হয়েছে বিএনপি।

আজ রোববার দুপুরে নগরীর দক্ষিণ দরগাহ গেইটস্থ একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানেই গণসমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি জানান, বিএনপি ১৯ নভেম্বর গণসমাবেশ করবে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সবক’টি বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে, ময়মনসিংহে, খুলনা এবং গতকাল বরিশালে গণসমাবেশ করেছে দলটি।

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ ২০ নভেম্বর করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এজন্য নগরীর চৌহাট্টাস্থ আলিয়া মাদরাসা মাঠকে বেছে নিয়েছে দলটি। সমাবেশের অনুমতির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অবহিতকরণ চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আজ থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার কারণে গত শুক্রবার গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ জানায়, পরীক্ষাকেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে জনসমাবেশ করা যাবে না।

আলিয়া মাদরাসায় পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। ফলে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এবার তারিখ বদলে একদিন আগেই হবে দলটির গণসমাবেশ।

আজ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিম হোসেইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজজামান সেলিম, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, নজিবুর রহমান নজিব ও সালেহ আহমদ খসরু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সামিয়া বেগম চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা কামরুল হাসান শাহীন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মাহবুব চৌধুরী, মোর্শেদ আহমদ মুকুল, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনূর আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি, শাহ নওয়াজ বক্ত তারেক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মকসুদ আহমদ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব, আফসর খান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা কুমকুম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদিপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান প্রমুখ।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে