প্রবল বৃষ্টির কারণে মরুদেশ সৌদি আরবের উপকূলীয় শহর ও বন্দরনগর জেদ্দাও তার সংলগ্ন দুই শহর রাবিফ ও খুলাইফ স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে, পরিবর্তন আনা হয়েছে ফ্লাইটের সময়সূচিতেও।

 


দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি।

 

জেদ্দা শহরটি ইসলাম ধর্মের প্রথম পবিত্র স্থান মক্কার ‘প্রবেশদ্বার’ নামেও পরিচিত। প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কা গমন করেন। একসময় যখন দূরদেশ থেকে জাহাজে চেপে মুসল্লিরা হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেতেন, তাদেরকে নামতে হতো জেদ্দায়। সেখান থেকেই মক্কার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতেন তারা।

 

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি ও ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বৃষ্টির তোড়ে জেদ্দার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং সেসব সড়ক মহাসড়কে ছড়ানো অথবা সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকা গাড়িগুলোর ওপরের অল্প খানিক অংশ বাদে পুরোটাই পানিতে ডুবে গেছে।

 

জেদ্দার বাদশাহ আবদুলাজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বুধবারের অধিকাংশ ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।’

 

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে প্রায় সারাদিন বৃষ্টিপাত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির ব্যাপারটি বিবেচনায় রেখে জেদ্দা, রাবিফ ও খুলাইসের বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং দপ্তর-কার্যলয় বন্ধ ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এসপিএর প্রতিবেদনে।

 

বর্তমানে সৌদির স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষার মৌসুম চলছে।

 

মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের অধিকাংশ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি বেশ বিরল। তবে প্রতি বছরই শীত মৌসুমে জেদ্দা ও তার আশপাশের এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৩২


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট