গেল বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টিতে টিলা ধ্বস হয়েছিল। মাটি এসে পড়ে ঘরের উপর। প্রাণহানীর শঙ্কায় ঘর ছাড়েন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট ঢুপি গ্রামের তিন কুমোর পরিবার। আশ্রয় নেন অন্যের বাড়িতে।

আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তারা সরাতে পারছেন না টিলা ধ্বসে পড়া মাটি। যে কারণে ফেরা হচ্ছে না নিজের ভিটেতে। ফের টিলা ধ্বসার শঙ্কায় তারা এখনো ঘরছাড়া। অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। 


স্থানীয় লোকজন জানান, সারিঘাট ঢুপি গ্রামে ৩০-৩৫টি কুমোর পরিবার বাস করেন। গত জুন মাসে অতি বৃষ্টিতে ওই গ্রামের মনু চন্দ্র পাল, বিশ্ব চন্দ্র পাল ও বিশু চন্দ্র পালের ঘরের উপর পার্শ্ববর্তী টিলা থেকে মাটি ধ্বসে পড়ে। প্রাণরক্ষায় পরিবার নিয়ে তারা আশ্রয় নেন অন্যের বাড়িতে। ৬ মাস ধরে তারা আছেন অন্যের বাড়িতে। টিলা কাটা কিংবা ড্রেসিংয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বসতভিটাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে পারছেন না তারা। 

এছাড়াও ওই গ্রামের আরও কয়েকটি বাড়ি একইভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় ফের টিলা ধ্বসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।  

এ প্রসঙ্গে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, ‘সরেজমিন গিয়ে ফের টিলা ধ্বসের শঙ্কা ও বাড়ির লোকজনদের দুর্দশা দেখে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, টিলা কাটা, ড্রেসিং কিংবা মাটি সরাতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির প্রয়োজন হয়। তাই অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর দ্রুত ধ্বসে পড়া মাটি অপসারণ ও ধ্বস রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে ঘরছাড়া পরিবারগুলো তাদের ঘরে ফেরতে পারবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শাদিআেচৌ / ডি.আর