সংশ্লিষ্টরা আগেই বলেছিলেন- ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’ ভারত-বাংলাদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বাণিজ্যিককে সম্পর্ককে নিয়ে যাবে আরও উচ্চতায়। সিলেটের জন্যও খুলবে আরও সম্ভাবনা দুয়ার। 

দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’ শেষে মিললো এমনই আভাস। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এর প্রধান অতিথি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন- সিলেট-শিলচর বাস চলাচল শুরু করতে আসাম সরকারের  সাথে আলোচনা হয়েছে। যা নিয়ে ইতোমধ্য দু দেশের সরকার কাজ শুরু করেছে।


ড. মোমেনের দাবি- গুহাটি-সিলেট ফ্লাইট চালু হলে আসাম-গুহাটির যাত্রীরা গুহাটি টু সিলেট হয়ে সরাসরি লন্ডন-দুবাই-জেদ্দা যেতে পারবেন। যার ফলে দু দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। 

মন্ত্রী আরো জানান- ভারত-বাংলাদেশের এমন আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে আসাম রাজ্য সরকার।

এদিকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসাম রাজ্য সরকারের, বন পরিবেশ ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী বলেন- বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সদৃঢ়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে কথা হয়েছে। শিলচর-সিলেট বাস চলাচল এবং গুহাটি-সিলেট-ঢাকা বিমান চলাচল শিগগিরই চালু করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠাবে আসাম রাজ্য সরকার।  যা বাস্তবায়িত হলে ব্যাবসা-বাণিজ্যে দুই দেশ উপকৃত হবে। 

শিলচরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. রাজদিপ রায় বলেন- গুহাটি টু ঢাকা ফ্লাইট না করে গুহাটি টু সিলেট-ঢাকা করলে সেখানে বেশি যাত্রী হবে। যার ফলে দুই দেশ নয়, তিন দেশের সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। শিলচরের গ্রীণফিল্ড এয়ারপোর্ট চালু হলে ভবিষ্যতে শিলচর-সিলেট এবং শিলচর-ঢাকা ফ্লাইট চালু করার কথাও জানান তিনি। 

‘সিলেট-শিলচর উৎসব’ উপলক্ষে দুই দিনের শিলচর সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আসাম রাজ্যের মন্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। সব শেষে মন্ত্রী বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজ কুমার রঞ্জন সিংহের সাথে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আসামের শিলচর শহরের সঙ্গে সিলেট শহরের সড়ক সীমান্ত মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এছাড়া আসাম-মেঘালয়ের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বড় সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৭ সালের আগে আসাম-সিলেট একসঙ্গেই ছিল। দেশভাগের পরে শহর দুটি আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা ও দিল্লি সরকার চাইছে, এই শহর দুটির মধ্যে নতুন করে সংযোগ বাড়ানোসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম