বিএনপি চেয়ারপার্সন'র উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ‌“আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ডা হচ্ছে ক্ষমতাকে যে কোন মূল্যে ধরে রাখা। ক্ষমতায় অবৈধভাবে থাকতে তারা হামলা, মামলা, গুম, খুনের পথ বেঁচে নিয়েছে। সারা দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

 


তাই আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে। পতন টেকাতে তারা হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে হিস্র আচরণ শুরু করেছে। সরকারের সকল অপচেষ্টা রুখে দিয়ে সারা দেশে জনগণের অংশগ্রহনে বিএনপি বিশাল বিশাল গণসমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। রাজধানীতে ও আগামী ১০ই ডিসেম্বর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”

 

তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড শাখার কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।

 

সোমবার (৫ই ডিসেম্বর) নগরীর মজুমদারীতে বিকাল ৬টার সময় এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সেলিম খান জালালাবাদী'র সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ সাফেক মাহবুব ও শামিম মজুমদার এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামিম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, আহবায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহবুব কাদির শাহী, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম  সিদ্দিকী খালেদ, মাহবুব চৌধুরী।

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খাঁন, বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান টুটুল, মিজান আহমদ, আলমগীর হোসেন, শুয়েব উল কিবরিয়া, এ বি মজুমদার রনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব। কাউন্সিলের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আব্দুল হামিদ। কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব কাদির শাহী দায়িত্ব পালন করেন।

 

কাউন্সিলে ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া কমিটির সদস্যের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে মিজান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক পদে আলমগীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ বি মজুমদার রনি নির্বাচিত হন।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৭