আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।


সম্মেলনে বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা। বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও রাজধানীর ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম এই ছাত্র সংগঠনটি।

এবার ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি চূড়ান্ত করেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হারান শোভন ও রাব্বানী। সেদিনই সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আর প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৭