মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ‘হাল্ট প্রাইজের’ ২০২২-২৩ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী এম মোকাম্মেল ওয়াহিদ এই কমিটি ঘোষণা করেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা এই তথ্য জানায়।
নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আশিকুর রহমান। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিন এবং সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানি রাজু। কমিটিতে তড়িৎ ও তাড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবীর রহমানকে ক্যাম্পাস পরিচালক, মোস্তাকিম আহমেদ চৌধুরীকে (বিবিএ) সহকারি পরিচালক, সৌরভ চক্রবর্তীকে (বিবিএ) সহ-সভাপতি ও রাভিনা বেগমকে (বিবিএ) সাধারণ সম্পাদক ও জনসংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও জি এম সিফাত ইকবাল (ইইই) সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনসংযোগ প্রধান, সালমান খান (ইইই) যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. আলী হায়দার অন্তর (ইইই) দপ্তর সম্পাদক, রুদ্রনীল দত্ত (ইইই) লজিস্টিকস, নাজিফা তাসনিম চৌধুরী (সিএসই) সহকারী জনসংযোগ সম্পাদক, প্রতীক পাল উদয় (ইইই) সহকারী প্রধান কর্পোরেট রিলেশন্স, তানভীর মাহমুদ অভি (সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং) আইটি এবং গ্রাফিক্স, মো ইমরান আলম (সিএসই ) আইটি এবং গ্রাফিক্স, অরপা মল্লিক শ্রাবণি (অর্থনীতি) কার্যনির্বাহী সদস্য এবং আসিফ মোহাম্মদ তাজওয়ার (অর্থনীতি) কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে অধ্যাপক মোকাম্মেল ওয়াহিদ বলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হাল্ট প্রাইজ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির কাজ করছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন লক্ষ্যে দক্ষতা অর্জন করছে । তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ করলেও আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি আশাবাদী।
জনসংযোগ শাখা জানায়, ‘তরুণদের নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রাম ‘হাল্ট প্রাইজ’। সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের হাজার হাজার তরুণ তাদের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। হাল্ট প্রাইজ তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের জন্য প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লিঙ্গ সমতা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি , শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো ,পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন এবং জলবায়ু কার্যক্রম।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে