সিলেট মহানগরে অবস্থিত চা বাগানসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রায় সারা বছরই লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। বাইরের পর্যটক ছাড়াও সিলেট মহানগরবাসী অবসর পেলেই একটু স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যান এসব দৃষ্টিনন্দন স্থানে। গত কয়েক বছর ধরে এসব স্থানের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন বাইশটিলা।
এই বাইশটিলাকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে চান সদ্য নির্বাচিত সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সিলেটভিউ’র কাছে তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
সিলেটের বাইশটিলার খ্যাতি অনেক। বাইশটিলা লাগোয়া পথে যেতে যেতে নয়ন জুড়ায় সবুজ দৃশ্যপট। প্রকৃতিগতভাবে শিল্পিত লোকালয় পর্যটকদের নজর কাড়ে সহজেই। চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। উঁচু-নিচু টিলা ও টিলাঘেরা সমতলে সবুজের চাষাবাদ। শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝেমধ্যে টিলাবেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ। পাহাড়ের কিনার ঘেঁষে ছুটে গেছে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। কোনো যান্ত্রিক দূষণ নেই। কোথাও আবার ছুটে চলছে রুপালি ঝরনাধারা। প্রকৃতির সব সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এমন অন্তহীন সৌন্দর্যে একাকার হয়ে আছে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার পাশের বাইশটিলা।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ হলেও স্থানটি সাজাতে ইতিপূর্বে নেওয়া হয়নি পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগে। এবার সেটাই করতে যাচ্ছেন নতুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি সিলেটভিউ-কে বলেন- প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অন্য এক ভালো লাগার জায়গা এই বাইশটিলা। ভ্রমণবিলাসী মানুষের কাছে আনন্দভ্রমণ কিংবা উচ্ছল সময় কাটানোর মহানগরে প্রথম পছন্দের স্থান বাইশটিলা। সিলেট মহানগরের ভেতরে হওয়ায় বাইশটিলা দেখতে পর্যটকদের পাশাপাশি নগরের মানুষও ছুটে যান অবসর পেলে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবার বাইশটিলাকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অ্যাড. নাসির বলেন- প্রাকৃতিক অবকাঠোমো ঠিক রেখে এখানে আলাদা আলাদা লেক তৈরি করা হবে। থাকবে একাধিক কটেজ। বিদেশের পর্যটন স্পটগুলোর মতো একাধিক শেডও করা হবে বাইশটিলায়। যেগুলো বিভিন্ন পার্টি বা অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। থাকবে উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরও জানান- বাইশটিলাকে আকর্ষণীয় করতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আগেই একটি পরিকল্পনার ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছিলো। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এবার শীঘ্রই আগের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনে সংযোগ-বিয়োজন করে নতুন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফাইল দাখিল করা হবে। আশা করি ফাইল দাখিলের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং কাজ শুরু হবে বাইশটিলায়।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম