(প্রতীকী ছবি)
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বাইপাস সড়কের মোমিনখলা এলাকার শাপলা আবাসিক হোটেল থেকে নিলীমা বেগম লিলি (১৯) নামের নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে লিলির বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় শাপলা আবাসিক হোটেলের মালিক, ম্যানেজার ও তার এক সহযোগিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাপলা আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৫ নং কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লিলির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লিলি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দুলিয়ারবন্দ গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ওই আবাসিক হোটেলের পরিচালক (ম্যানেজার) জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী লিলি। ওর সাথে অনেকদিন হলো ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তবে জহিরের সঙ্গে যোগাযোগ বা মেলামেশা ছিলো। বুধবার সকাল ১০টার দিকে কর্মচারীদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে ১০৫ নং কক্ষের দরজা ভেঙে লিলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ময়না তদন্ত শেষে লাশটি বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে ওসমানীনগরে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করে পরিবার।
লিলি বাবা নুরুল হকের দায়েরকৃত মামলায় হোটেলের মালিক আবদুল জলিল, পরিচালক (ম্যানেজার) জহির মিয়া ও তার সহযোগী চুনু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে ম্যানেজার ও লিলির প্রাক্তন স্বামী জহির মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার। সব আসামিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- মোমিনখলার শাপলা নামক এই আবাসিক হোটেলে নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা করানো হতো। অনেকবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ কাজে থাকাবস্থায় নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে। তবু থামেনি এ হোটেলে অনৈতিক কার্যক্রম।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম