বিশ্বকাপের পর লিগে প্রথম চার ম্যাচে তার পায়ে মাত্র ২ গোল। এ দেখে কেউ যদি ধরে নিয়ে থাকেন ‘এই বুঝি হলান্ড নামের দৈত্যকে বশ করা হয়ে গেল’, সে ক্ষেত্রে ধারণাটা কতটা ভুল তা গত পরশু নেকড়েদের বশ করে বুঝিয়ে দিলেন হলান্ড। উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৩-০ গোলের জয়ে তিন গোলই তার, লিগে ১৯ ম্যাচেই চার হ্যাটট্রিক হয়ে গেল।
এই হ্যাটট্রিকে লিগে ২৫ গোলও হয়ে গেল সিটির ২২ বছর বয়সী নরওয়েজিয়ান গোলমেশিনের। চোট-টোট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে এবার যে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই হচ্ছেন, তা দুটি কারণে নিশ্চিত ধরে নেয়া যায়। এক, লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেইন ১০ গোল পিছিয়ে। দুই, ২০১৭-১৮ মৌসুমে মো. সালাহর রেকর্ড ৩২ গোলের পর গত চার মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে কারও ২৩ গোলের বেশিই লাগেনি!
সালাহর রেকর্ড তো নিরাপদ নয়-ই, হলান্ডের সামনে বরং ‘লিওনেল মেসি’ নামে এক অতিমানবের অর্জনকে লক্ষ্য হিসেবে বেঁধে দিতে পারেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। স্প্যানিশ কোচের অধীনে ২০১১-১২ মৌসুমে মেসি স্প্যানিশ লিগে ৩৭ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৫০টি- ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগ মিলিয়ে (প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি আ, বুন্দেসলিগা, লিগ আঁ) এক মৌসুমে লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড সেটি। গার্দিওলার ১৪ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারেও লিগে এক মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল তো সেটিই হবে! হলান্ড সেই তালিকায় কোথায়? তালিকাতেই দেখে নিন!
গার্দিওলার অধীনে লিগে সর্বোচ্চ গোল
গোল | ম্যাচ | খেলোয়াড় | মৌসুম |
৫০ | ৩৭ | মেসি | ২০১১-১২ |
৩৪ | ৩৫ | মেসি | ২০০৯-১০ |
৩১ | ৩৩ | মেসি | ২০১০-১১ |
৩০ | ৩২ | লেভানদফস্কি | ২০১৫-১৬ |
৩০ | ৩৬ | ইতো | ২০০৮-০৯ |
২৩ | ৩১ | মেসি | ২০০৮-০৯ |
২৫ | ১৯ | হল্যান্ড | ২০২২-২৩ |
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত-১২
সূত্র : দৈনিক বাংলা