মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সিলেটের কৃতি সন্তান, সাবেক অর্থমন্ত্রী, ভাষা-সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 


বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ মসজিদের নিচতলায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের নিহত সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। আবুল মাল আবদুল মুহিত সহ প্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র দীর্ঘায়ু কামনা এবং মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান ও মহানগর আওয়ামী লীগের অসুস্থ নেতৃবৃন্দের সুস্থতা কামনাসহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান, মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা,সিলেটবাসীর গর্ব আবুল মাল আবদুল মুহিত এক কিংবদন্তির নাম। ন্যায়নিষ্ঠ, সজ্জন এই গুণীজন সরলতা, সততা ও সত্যকথনে ছিলেন স্পষ্টভাষী। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, কুটনীতি, সাহিত্য সহ জীবনের বহুক্ষেত্রে বনর্ণাতীত ভূমিকা রেখেছেন। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আর্ন্তজাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বাংলাদেশের সম্পৃক্তি ও সমৃদ্ধিতে তিনি এক রূপান্তরের নায়ক। তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আমূল বদলে দিয়েছেন এবং সর্বোচ্চবার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন। অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে তিনি নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন সহ সিলেটের ব্যাপক উন্নয়নে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

 

নেতৃবৃন্দ তাঁর অবদানকে চিরস্মরণীয় রাখতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁর নামকরণে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের আহবান জানান।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যমনা মানুষ। তাঁর সংগ্রহে প্রায় ৫০ হাজার বই ছিলো। তিনি শুধু বই সংগ্রহ করেননি প্রচুর বইও লিখেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। অবসর নিয়েও মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের জাতীয় অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেন। তিনি এমন একজন প্রাণবন্ত মানুষ যিনি অফুরন্ত জীবনীশক্তির অধিকারী। সদা হাস্যোজ্জ্বল কর্মযোগী, ধ্যানী এই মানুষটির স্পষ্টতা, সরলতা ও সাহসিকতা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর রেখে যাওয়া কর্মগুলো সকল মানুষকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে, ইনশাআল্লাহ।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, নুরুল ইসলাম পুতুল, মোঃ সানাওর, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, ইলিয়াস আহমেদ জুয়েল, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন,  কানাই দত্ত, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, গৌসূল আলম গেদু, মোঃ আব্দুল হামিদ, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, ফখরুল হাসান, ফয়সল আক্তার সোবহানী,আব্দুস সালাম সাহেদ,সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাছিত, এম.এ খান শাহীন, বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, মইনুল ইসলাম মইন, ফজলে রাব্বি মাসুম, বদরুল ইসলাম, সেলিম আহমদ সেমিম প্রমুখ।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১১