মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি শুধু শিক্ষাদানেই গুরুত্ব দিচ্ছে, তা নয়। বরঞ্চ লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকেও অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠান।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশ মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে, উৎসাহিত করে। আর তাই মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসকে আমরা মনোরম পরিবেশে গড়ে তুলেছি, তুলছি। এখানে রয়েছে বাহারি উদ্যান, রয়েছে প্রকৃতির নিবিড়তা। নান্দনিকতায় আমাদের এই ক্যাম্পাস হবে দেশের অন্যতম সেরা।’


বুধবার শহরতলির বটেশ্বরস্থ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তৌফিক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায় মানুষের তিনটি সম্পর্ক মানুষকে পূর্ণাঙ্গ করে তুলে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক,  মানুষের সাথে বিশ্বের সম্পর্ক ও মানুষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক । আমরা সবগুলোই এগিয়ে যেতে চাই।’

অনাড়ম্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী।
 
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক । ফুল পছন্দ করে না এমন কোনো মানুষ পৃথিবীতে নেই । প্রত্যেক মানুষ ফুলকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসে এবং ফুল দেখে আনন্দ পায়। ফুল মানুষের মনে মায়া সঞ্চার করে মানুষের মায়াবী রূপকে জাগিয়ে তোলে। আমরা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসকে প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিভিন্ন এলাকার সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রতিদিন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস দেখতে ও সেখানে ছবি তুলতে আসেন। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। এমন একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে শিক্ষাগ্রহণ করছেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মাহফুজুল হাসান, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (আইটি) সামির আহমেদ, প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, উদ্যান তত্ত্বাবধায়ক রূপা ইসলামসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ফুলের চারা রোপণ করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে