এভাবেই উৎসব করেছেন রংপুর রাইডার্সের বোলাররা।

ঘরের মাঠ, বিপুল সমর্থন। কিন্তু এসবের কোনো চাপ দেখা গেল না সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিংয়ে। শুরু থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনোরকমে ৯২ রান করলো মাশরাফির দল।

বিপিএলের সিলেট পর্ব মাঠে গড়িয়েছে আজ শুক্রবার। বেলা ২টায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এর পরের চিত্রটা কেবলই আসা-যাওয়ার!


৪ রানে টম মুরসকে হারানো সিলেটের স্কোর ১২ রানে থাকতে থাকতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম আর জাকির হাসান!

১৮ রানে নেই হয়ে যায় সিলেটের ৭ উইকেট!

বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৪ রানে আটকে পড়ার রেকর্ড খুলনার; ২০১৬ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আজ সর্বনিম্ন রানে আটকে যাওয়ার ভয় চেপে ধরেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। তা হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব আর মাশরাফি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন এ দুজন। গড়েন ৪৮ রানের জুটি। হাসান মাহমুদের বলে রবিউল হকের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে মাশরাফির বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ২১ বলে দুই ছক্কায় ২১ রান করেন দলনায়ক।

সাকিব তখনও লড়ে যাচ্ছিলেন। খানিক পরে তিনিও ফিরে যান হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে। তবে ফেরার আগে ৩৬ বলে পাঁচ চার আর দুই ছয়ে ৪১ রান করে দলকে শত রানের কাছাকাছি যাওয়ার পথ করে দেন সাকিব।

২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৯২ রান দাঁড়ায় সিলেটের স্কোর।

হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ১২ রানে ৩টি, আজমতউল্লাহ ওমরাজাই ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩টি, মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ১২ রানে ২টি আর হারিস রউফ ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ১ উইকেট।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে