ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি পাঠ্যবই দেয়া আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কোথাও বই না পেয়ে থাকলে সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ এবং পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের সহায়তা নিতে আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘২৫ জানুয়ারির মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কথা। বই না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে বলব, আমাদের ওয়েব সাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে, কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে তাহলে সে ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন।’


শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই দিনের সফরে এসে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, প্রতিটি মানুষের হাতে মোবাইল। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি।’

‘স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে,যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থটাকে সবচাইতে আগে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে।’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ ও দেশ- এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এগুলো কখনো স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে, অন্যেরা অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।’

স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ঠিক পিতার মতো। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হব এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি