সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের আশক আলী (৭৫) নামের বৃদ্ধের লাশ চাউলধনী হাওরের ‘সমস্যার খাল’ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বৃদ্ধের পুত্র বাবুল মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের মখলিছ আলীর পুত্র জুবেল মিয়া (৪০) ও লেবু মিয়াকে (৩৬) অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২ (তাং ৩.০২.২৩ইং)।
 


বাদী বাবুল মিয়া থানায় দায়ের করা তার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২৯ জানুয়ারী দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে আমার (বাবুল) পিতা আশক আলী তাহাজ্জুদের নামায আদায়ের লক্ষ্যে অজু করতে বাড়ির পূর্বের পুকুর ঘাটে যান। এরপর তিনি ঘরে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে তাকে খোজাখুঁজি করি। পর দিন ৩০ জানুয়ারী দুপুর ২টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চাউলধনী হাওরের ‘সমস্যার খালে’ তার (আশক) লাশের সন্ধান পাই। লাশের কিছু অংশ কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা ছিল। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে, তখন দেখতে পাই আমার পিতার মুখের ভেতরে কাঠের টুকরো ঢুকানো।
 

বাদী তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ‘জুবেল মিয়া-লেবু মিয়াদের সাথে বিশ্বনাথ জিআর ১১৪/১২, ৭৯/১৩ ও ২৪/১৩সহ একাধিক দেওয়ানি এবং ফৌজদারী মামলায় আমরা (বাবুল গং) জয়লাভ করেছি, তারা (অভিযুক্তরা) পরাজয় বরণ করেছে। এছাড়াও প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে তারা (জুবেল-লেবু) আমার পিতাকে বেদম মারধর করে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, জুবেল-লেবু বাদীর পিতাকে হত্যা করে সমস্যার খালে ফেলে রাখে। আমার পিতার জুতো পাওয়া যায় আমাদের পুকুর ঘাটে এবং তার ব্যবহৃত টর্চলাইট পাওয়া যায় লাশের সাথে।’
 

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আশক আলীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে মামরার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
 

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরের সমস্যার খাল থেকে আশক আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
 

সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে ছিলেন, ‘লাশের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রনঞ্জয়/এসডি-২১