সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক বলেছেন, বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ পিছিয়ে থাকবে না সবাইকে নিয়ে এগোবো এই মূলমন্ত্রে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্যে চা শ্রমিকদের উন্নয়ন ছাড়া এই অর্জন সম্ভব নয়। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
 

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) এর উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট শহরতলীর দলদলি চা বাগানের চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


একডো কর্তৃক পরিচালিত এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টার (ইএসসি) পরিচালনা কমিটির স্থানীয় সভাপতি ও টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং একডো’র প্রকল্প সমন্বয়কারী তাসনীম চৌধুরীর স ালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- একডো’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মী কান্ত সিংহ।
 

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে একডো সিলেটের বিভিন্ন নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে সিলেট সদর উপজেলার দলদলি ও লাক্কাতুরা চা বাগানের শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রে ২৫ জন করে শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও আগামীতে দলদলি বাগানের পাঠাগারের জন্য একডো’র পক্ষ থেকে শিশুদের পাঠ উপযোগী বই প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
 

২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের চা শ্রমিক, পাত্র ও মনিপুরী জনগোষ্ঠীর ২০ জন শিক্ষার্থীকে ষষ্ঠ থেকে এসএসসি পর্যন্ত সহায়তা প্রদানের জন্য নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, সিলেট সদর উপজেলার চা বাগানগুলোতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্রত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে।
 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন- সুজন নায়েক, প্রণতি নায়েক, দলদলি শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রর শিক্ষিকা পম্পা চক্রবর্তী প্রমুখ।
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০২