প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তাকে উদ্দেশ্য করে জামাতপন্থী এস এম শামীমের নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদ ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শাল্লায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
 

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাল্লা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।


এর পূর্বে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
 

৪নং শাল্লা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী (ফুল মিয়া) এর সভাপতিত্বে ও সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রান্টু লাল দাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নওশের মনির, কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কাজল বরণ চৌধুরী, বাহাড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাস, যুবলীগ কর্মী তফসির আলম চৌধুরী, কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুরঞ্জিত সেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পি সি দাস পিযুষ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিহির কান্তি রায়, আওয়ামী কর্মী একরামুল হোসেনসহ আরো অনেকেই।
 

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, মহান সংসদের কবি, সংবিধান প্রনেতা, জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী, আমাদের দিরাই-শাল্লার রাজনৈতিক অভিভাবক এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা-কে উদ্দেশ্য করে জামাত শিবিরের গুপ্তচর শামীম নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে কুরুচিপূর্ণ, উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক লেখার প্রতিবাদে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
 

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, বিগত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এস এম শামীমের নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে সাংসদ ড. জয়াসেন গুপ্তার উদ্দেশ্য একটি কুরুচিপূর্ণ পোস্ট  দেন। পোস্টে লেখা ছিল " কত বড় নির্লজ্জ সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটা লাশ ! তারপরও ক্ষমতা আখড়িয়ে ধরে রাখতে চায়। মনে হয় যেন দিরাই শাল্লা বাপ দাদার সম্পত্তি"। এই পোস্ট দেখামাত্রই আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা জামাত শিবিরের এজেন্ট এস এম শামীমের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
 

পরে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নাইন্দা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে (ঘুঙ্গিয়ারগাঁও) শাল্লা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক, যুবলীগ কর্মী অরিন্দম চৌধুরী অপু সাংসদের পক্ষে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিগত ১৮ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাল্লা থানার পুলিশ সিলেট শহরের আম্বরখানা এলাকা থেকে এস এম শামীমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সন্দীপন/এসডি-০৫