সিলেটের শাহপরাণ থানার বটেশ্বরে লাথি মেরে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু ঘটানো অটোরিকশা চালককে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলেন বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটের শাহপরাণ থানার বটেশ্বর বাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের লাথিতে মারা যান ওই ক্যান্সার রোগী। ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে চালক লাথি মারলে তিনি মারা যান।


মৃত জালাল উদ্দীন (৪৮) শাহপরাণ থানার বটেশ্বর এলাকার কানুগুল গ্রামের মৃত কটন মিয়ার ছেলে। ময়না তদন্তের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে বিকালে দাফন করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।

তিনি জানান- জালাল উদ্দীন একজন ক্যান্সার রোগী ছিলেন। তাঁর পরিবারিক সূত্র জানিয়েছে- তাকে কেমু থেরাপি দেওয়া হচ্ছিলো। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বটেশ্বর বাজারে ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৩০) সঙ্গে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মামুন তাঁকে পেটের নিচে লাথি মারেন। ওই সময় জালাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন। 

ওসি জানান- ঘটনার পরপরই সিলেটের মোগলাবাজার থানার করিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মামুনকে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম