উৎসবের শেষ দিন গানে গানে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন করিম ভক্ত বাউল শিল্পীরা।
 

করিমের এমন সব জনপ্রিয় গানে মধ্যরাত পর্যন্ত সংগীত পরিবেশন করেছেন ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত বাউল শিল্পীরা।
 


শনিবার (৪ মার্চ) মধ্য রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শেষ হলো বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী করিম উৎসব।
 

এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বাউল শাহ আবদুল করিমের ১০৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে লোক উৎসবের শুভসূচনা করা হয়।
 

দিরাই বরাম হাওরের তীরবর্তী উজানধল গ্রামের মাঠে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
 

পরে করিমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, ওসি মুক্তাদীর আহমদ, হাসন রাজার প্রপৌত্র সামারিন দেওয়ান, বিকাশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহ্ আবদুল করিম স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুপুর চৌধুরী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে, দিরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, কুলেন্দু শেখর দাস, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ প্রমুখ।
 

প্রসঙ্গত, বাউল সম্রাটের জীবন দর্শন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এই উৎসব। দিরাইয়ে  দুই দিনের ১৮ তম লোক উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিল হাজারো ভক্ত। সম্প্রীতির বন্ধন ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর এই আয়োজন করে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম পরিষদ।
 

ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ, দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানে উঠে এসেছে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কারের কথা।জীবনের শেষ সময়ে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম চেয়েছিলেন তার প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীতালয়টি পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করুক। এখান থেকে সুদ্ধ সুরে বাউল গান ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। তবে, এখনো সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়নি। করিমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবদ্দশায় ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লোল/এসডি-০১