ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। দেশটির তদারকি এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ (নাজাহা) শনিবার (০৪ মার্চ) এ ঘোষণা দেয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যারাবিয়া নিউজ।
 

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা, আটজন বাংলাদেশি নাগরিক, একজন দর্শনার্থী এবং একজন ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী রয়েছেন।


অভিযোগ উঠেছে, এই দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ঘুষ আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে এবং বাকিটা বাইরে বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন গ্রেপ্তাররা।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ভিসা বাণিজ্যের বিষয়ে নাজাহাকে তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ঢাকার সৌদি দূতাবাস রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রতিটি ভিসা দেওয়ার জন্য ২২০-২৫০ মার্কিন ডলার আদায় করত। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নাজাহা জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় সৌদি মুদ্রা, সোনা ও গাড়ি পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে গত বছর ৬ লাখ ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন ৮৫ হাজার ৩১৯ জন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১৭


সূত্র : দেশ রুপান্তর