(প্রতীকী ছবি)

আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতটি হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। মুসলমানরা ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্য্য ও ইবাতদের মাধ্যমে রাতটি উদযাপন করবে।

তবে সিলেটে প্রতি শবে বরাতেই শিশু-কিশোররা তারাবাতি জ্বালিয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে হৈ-হুল্লুড় করেন। এতে অগ্নিকাণ্ডও ঘটে। তাই শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং এর অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিতকরণে তারাবাতি জ্বালানো বা আতশবাজি ফুটাতে নিরুৎসাহিত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।


এ নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস সিলেটভিউ-কে বলেন- মহানগর এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন এ জন্য আজ শবে বরাতের রাতে কেউ যাতে আতশবাজি বা তারাবাতি জ্বালাতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখবে পুলিশ। আতশবাজি বা তারাবাতি জ্বালানোর মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে কেউ বিঘ্ন ঘটালে বা বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উল্লেখ্য, শবে বরাতের আগের (সোমবার) রাতে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার গোয়াইপাড়ায় তারাবাতির (ফুলঝরি) আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

স্থানীয়রা জানান- সোমবার (৬ মার্চ) রাত পৌনে ৯ টার দিকে গোয়াইপাড়ার সেলিম মিয়ার কলোনির পার্শ্ববর্তী মল্লিকা-৫২ নং রাশেদ আহমদের বাসার কয়েকজন শিশু তারাবাতিতে আগুন ধরিয়ে খেলছিলেন। এসময় জ্বলন্ত একটি তারাবাতি উড়ে গিয়ে একটি গাছের  শুকনো পাতায় পড়ে এবং মুহুর্তেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে।

গাছে আগুন দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। পাশাপাশি স্থানীয়রা নিজেদের বাসার বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে গাছে পানি ছুঁড়ে মারতে থাকেন। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম