ত্রিপুরায় গত ২ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই নিশ্চিত হয়ে যায়, রাজ্যটিতে দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা করতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সেই অনুযায়ী, সোমবার (৬ মার্চ) রাতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠকেই দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে।

 


বৈঠকে ২৩ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজয়ী প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ডা. মানিক সাহার নাম প্রস্তাব করেন। তার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান রামপদ জমাতিয়া এবং বলিষ্ঠ নেতা রতন লাল নাথ। পরে শাসকদলের নির্বাচিত অন্য সদস্যরাও তাকে ধ্বনিভোটে স্বাগত জানান।

ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে ২৩ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একাধিকবার বিজয়ী প্রতিমা ভৌমিকের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে সোমবার রাতের বৈঠকে শীর্ষনেতা হিসেবে আর কারও নাম আলোচনায় আসেনি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন পরিষদীয় দলনেতার নাম।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোর্ডিনেটর সম্বিত পাত্রা, প্রদেশ বিজেপি প্রভারি ডা. মহেশ শর্মা, কেন্দ্রীয় প্রভারি হিসেবে আসামের পরিবহনমন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য প্রমুখ।

বৈঠক শেষে রাজভবনে গিয়ে পরিষদীয় দলনেতা সরকার গঠনের ব্যাপারে দাবি জানান। সে সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্যসহ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শরিক দল আইপিএফটি’র একমাত্র জয়ী বিধায়ক শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াও লিখিতভাবে রাজ্যপালকে এ মর্মে অবহিত করেন।

বৈঠকে পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচনের আগামী ৮ মার্চ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ত্রিপুরা সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

দলীয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর আগেই মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিপুরায় পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শপথগ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তুতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৮