ফাইল ছবি
নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর সিলেটের জকিগঞ্জে আল্লামা আব্দুল লতিফ রাহ.-এর বাড়ির পুকুর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে।
সালমান আহমদ তায়েফ (১১) নামের ওই শিশুছাত্র মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার ইন্দানগর গ্রামের মৃত মো. আফতাব আলীর ছেলে। সে ছাহেব বাড়ির মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।
মৃত্যুর বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, তায়েফ গত ৫ মার্চ নিখোঁজ হয়- এ মর্মে গতকাল (সোমবার- ৬ মার্চ) থানায় একটি জিডি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরে আজ দুপুরে কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেন- তায়েফের মরদেহ ছাহেব বাড়ির পুকুরে ভেসে উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিকাল ৪টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি মো. মোশাররফ হোসেন বলেন- তায়েফের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে ময়না তদন্ত হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এখনো পানি অনেকটা ঠান্ডা। তাই পানিতে পড়ে মারা গেলে কারও লাশ ভেসে উঠতে ২-৩ দিন সময়ও লাগতে পারে। এ মৃত্যু রহস্যজনক নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফুলতলি ছাহেব বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। পরে ৬ ঘণ্টা তৎপরতা চালিয়ে স্থানীয় জনতা রাত পৌনে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেন।
মারা যাওয়া খছরু মিয়া (৪০) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লালাবাজার এলাকার বেতসান্দি গ্রামের মাস্টার সামছুদ্দিনের ছেলে। খছরু মিয়া কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে ওইদিন সিলেটের বিভিন্ন মাজার জিয়ারতে বের হয়েছিলেন। বিকেলের দিকে আল্লামা ফুলতলির মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে ছাহেব বাড়িতেও যান। বিকাল ৫টার দিকে খছরু মিয়া ছাহেব বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নামেন। এসময় তিনি মাঝপুকুরে গেলে হঠাৎ ডুবে যান।
পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। কিন্তু সন্ধ্যা হওয়া যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস দলের ডুবুরিরা পর্যাপ্ত আলোর অভাবে উদ্ধার অভিযানে নামতে পারেননি। তবে স্থানীয় কয়েকজন মাছ ধরার বড় জাল ফেলে খছরু মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। দুই দফা জাল ফেলে পাওয়া না গেলেও তৃতীয়বারের চেষ্টায় ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে খছরুর মৃতদেহ জালে উঠে আসে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / হাছিব / ডালিম