সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ আহমদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছিলো। এই ভাষণ আগামীতেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সবাইকে উজ্জীবিত করবে। এই ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস পেয়েছিলেন। এটার মাধ্যমেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পান। এরপরই দেশের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
মঙ্গলবার (৭ই মার্চ) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকাল ৩টায় গুলশান সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। তিনি পরিচালনার পাশাপাশি বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। জাতির পিতার বলিষ্ঠ ডাকে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পেয়ে যান। এই দিকনির্দেশনার পথ ধরেই মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো জাতির পিতার ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেন। যার জন্য বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, সান্তনু দত্ত সন্তু, সৈয়দ কামাল,সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, গৌসুল আলম গেদু, আব্দুর রব হাজারী, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, সাজোয়ান আহমদ, ফয়ছল আক্তার ছোবহানী, মোঃ ছয়েফ খাঁন, সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন,সোয়েব বাছিত, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, রুমেল আহমদ রুমিন, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, আনোয়ার হোসেন আনার, আব্দুল জলিল লেবু প্রমুখ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০৯