মার্কিন জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) আয়োজিত ‘নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ এ ‘বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'টিম অলিক’। তবে এই সফলতার পুরস্কার গ্রহণে নাসা আমন্ত্রণ জানালেও ওই বছরে ভিসা জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্র যাবার অনিশ্চয়তায় রয়েছে দলটি।
তবে গত বছরের ডিসেম্বরে নাসা সদর দপ্তর দলটিকে আবারো আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামী ১৩ মার্চের বিমানের ফ্লাইটে নাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে দলটিকে। কিন্তু এবার ভিসা জটিলতা কাটলেও অর্থ সংকটে নাসায় যাওয়ার স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হওয়ার পথে। এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন 'টিম অলিকের সদস্যরা।
এ দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান বুধবার বিকালে বলেন, আমাদেরকে নাসা সদর দপ্তর ভ্রমণের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল গতবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। একই সঙ্গে ভিসা পায় নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ-২০২১ শে চ্যাম্পিয়ন দল ‘টিম মহাকাশ’। আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ নাসার সদর দপ্তরে চ্যাম্পিয়ন টিমদেরকে পুরস্কৃত করা হবে এবং বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে সেখানে।
তিনি বলেন, আর মাত্র পাঁচদিন পর আমাদের উভয় টিমের ফ্লাইট। এখন আমাদের প্রয়োজন বিমান ভাড়া। দুটি টিমের জন্য যেতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকার মত। কিন্তু এখনো মেলেনি কোন আর্থিক সহায়তা। তাই যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এখনো আমরা উদ্বেগে রয়েছি। এখন অর্থ সংকটে নাসা সদর দপ্তর যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাবির 'টিম অলিক'র অন্য সদস্যরা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
অন্যদিকে কুয়েটের 'টিম মহাকাশ'র সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, বর্নিতা বসাক তৃষা, শিশির কৈরী, মমিনুল হক, ও সুমিত চন্দ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/নোমান/এসডি-১২