সম্মিলিত নাট্য পরিষদ কেবল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেই সীমাবদ্ধ নয় পরিষদ সময়ের প্রয়োজনে সাধারণ জনগণের কাছে ছুটে যায় অবিরাম। গণমানুষের পক্ষেই থাকে তাদের সতত অবস্থান। তাই এই সংগঠনটির মানবিক কার্যক্রম দেশের যে কোন সংগঠনের জন্যে অনুসরণযোগ্য।"
 

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কথাগুলো বলেন সম্মেলন উদ্বোধক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব নাট্যজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। গতকাল ১০ মার্চ শুক্রবার সকাল দশটায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সম্মিলিত নাট্য পরিষদ ১৪৩০-১৪৩১ বাংলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন প্রথমে জাতীয় পতাকা এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম. হামিদ। 


ম. হামিদ বলেন- "নাটক এমনই এক শিল্প মাধ্যম যেখানে রয়েছে মানুষের অধিকার প্রকাশের শিল্প। শিল্পের বিকাশ যত উন্নতি হবে ততই সাধারণের মানসিকতা কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সুযোগ প্রশস্থ হবে।"। তিনি আরো বলেন, " আজ এখানে এসে আমি নিজকে খুব গৌগৌরবান্বিত মনে করছি, কারণ নাটক মাধ্যমটি আমার প্রিয় মাধ্যম। এ মাধ্যমে কাজ করে আমি বরাবরই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কাজেই আজ এখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানায়েছেন বিধায় আমি সত্যিই প্রাণিতবোধ করছি। সম্মিলিত নাট্য পরিষদ কেবল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেই সীমাবদ্ধ নয় পরিষদ সময়ের প্রয়োজনে সাধারণ জনগণের কাছে ছুটে যায় অবিরাম। গণমানুষের পক্ষেই থাকে তাদের সতত অবস্থান। তাই এই সংগঠনটির মানবিক কার্যক্রম দেশের যে কোন সংগঠনের জন্যে অনুসরণযোগ্য। "

দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রাক্তন প্রধান সভাপতি অন্বরীষ দত্ত, বর্তমান পরিচালক কনোজ চক্রবর্তী, চম্পক সরকার, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শামসুল আলম সেলিম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, নাট্য পরিষদের সাবেক সভাপতি অনুপ কুমার দেব, নিরঞ্জন দে যাদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাসিত শেরো, সহসভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা দাশ জুঁই, নাট্যজন আমিরুল ইসলাম বাবু, সাংস্কৃতিক সংগঠক- বিভাষ শ্যাম যাদন,মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অপুর্ব শর্মা, বাপা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম প্রমুখ।
 

বিকাল তিনটায় শুরু হয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। সেখানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন নির্বাহী সদস্য জয়ন্ত দাস,দাড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, অর্থ সম্পাদকের প্রতিবেদনে পেশ করেন নির্বাহী সদস্য ফারজানা সুমি।

সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে আলোচনায় অংশ নেন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, নিরঞ্জন দে যাদু, আব্দুল কাইয়ুম মকুল, শামসুল বাসিত শেরো, অংশুমান দত্ত অঞ্জন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বাবু, এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, নাহিদ পারভেজ বাবু, কামরুল হক জুয়েল, একলাছ আহমেদ তন্ময়, দেবজ্যোতি দেবু, অপু মজুমদার।
সন্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে নীতিনির্ধারণী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল দাস ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় দেব শান্ত  সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/পল্লব-৯