সিলেটে জাতীয় পিঠা উৎসবের দ্বিতীয়দিনে উৎসবস্থল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবন প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। একদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাহারি পিঠার আকর্ষণ অন্যদিকে মঞ্চ মাতানো আবৃত্তি ও গানের টান সববয়সের পিঠা প্রেমিদের বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ধরে রাখে।
প্রতিটি স্টলে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কেউ এসেছিলেন একা, কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউবা পরিবারের ক্ষুদে সদস্যসহ। খেয়েছেন-নিয়েও গেছেন প্রিয়জনদের জন্যে। বিক্রেতারাও বেচাবিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট। আশা করছেন, আজ শনিবারও সরকারি ছুটি থাকায় আরও ভাল হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাচীন লোকগাঁথা নিয়ে আবৃত্তি প্রযোজনা " সুরমা নদীর গাংচিল আমি শূন্য দিলাম উড়া " নিয়ে আসে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি সিলেট, সমবেত নৃত্য নিয়ে আসে নৃত্যাঞ্জালি, শিশুকিশোরদের সমবেত আবৃত্তি নিয়ে আসে পাঠশালা। অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আবৃত্তি শিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল এবং আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত। একক সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, সংগীতশিল্পী নাসরিন আক্তার ডায়না, লিংকন দাশ,খোকন ফকির,আশরাফুল ইসলাম অনি এবং প্রদীপ মল্লিক।দ্বিতীয় দিনের আয়োজন সমাপ্তি ঘোষণা হয় সাংস্কৃতিক আয়োজনের পরপরই।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/পল্লব-১৭