সিলেট সদরের খাদিমনগরের ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চারবারের নির্বাচিত সদস্য ও বর্তমান সদস্য পদপ্রার্থী মো. ইলিয়াছ আলী বলেছেন, ওয়ার্ডবাসীর খাদেম হিসাবে জীবনের অনেক বছর কাটিয়ে দিয়েছি। এখনো তাদের খেদমত করতে চাই। সবসময় গরিব দুঃখি ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। আগামীতেও সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধাগুলো তাদের হাতে তুলে দিতে চাই। আর তাই ১৬ মার্চের নির্বাচনে তালা প্রতিকে ভোট দিয়ে ওয়ার্ডবাসী আমার উপর তাদের আস্তার প্রমাণ দিবেন বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন।
এদিকে এই ওয়ার্ডের সচেতন ভোটারদের সাথে কথা বলে তার ব্যাপারে নানা ইতিবাচক তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি সনদধারী শিক্ষিত নয়। তবে সমাজসেবা বা উন্নয়নের ব্যাপারে তার জ্ঞানের কোন ঘাটতি নেই। আর তাই এক দু’বার নয়, চার চারবার ৭নং ওয়ার্ডবাসীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
সুবাদে এই ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও প্রয়োজনের বিষয়গুলো তার নখদর্পণে। এবার পঞ্চমবারের মতো তিনি এই ওয়ার্ডবাসীর সদস্য ( মেম্বার) হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের মাঠের খবর, এবার তার তালা প্রতিকে ব্যাপক সাঁড়া পড়েছে।
এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার খুব একটা আগ্রহ ছিলনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭নং ওয়ার্ডের সর্বস্থরের জনসাধারণ ও শুভাকাংখীদের অনুরোধে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একজন পরহেজগার মানুষ হিসাবে কেবল ৭নং ওয়ার্ডবাসীই নয়, সারা ইউনিয়নে তিনি পরিচিত মুখ।
৭নং ওয়ার্ডের একাধিক ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, ইলিয়াছ আলী এমনিতে খুব জনপ্রিয় এবং ভালো মানুষ। আর তাই অতীতে ৪বার তিনি এই ওয়ার্ডের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সুবাদে তিনি এই ওয়ার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে যেমন মূল্যবান অবদান রেখেছেন, তেমনি গরিব অসহায় মানুষের জন্যও অনেক কাজ করেছেন। তার সময়ে কেউ কোন বিষয়ে কোনদিনই বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে পারেনি। তাকে কোনদিনই কোন অন্যায়ের সাথে দেখা যায়নি এবং সম্পদের পাহাড় গড়ার জন্যও কখনো ছুটেন নি তিনি। সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন নির্ভরতার প্রতিক হয়ে।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বর্তমানে ইলিয়াছ আলী ফতেগড় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাহেবের বাজার শাহীঈদগাহ কমিটির সভাপতি, সাহেবের বাজার হাজিফিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ফরিংউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একাধিকবারের সাবেক সভাপতি।
তার নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল টিকেই থাকেনি, বরং এগুলোর ভিত্তি মজবুত করতে তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
ওয়ার্ডের দরিদ্র লোকজন নানাভাবে বঞ্চিত হওয়ায় একজন সৎ ও আদর্শবান মেম্বারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। আর তাই তারা ছুটে গেছেন ইলিয়াছ আলীর কাছে। বারবার অনুরোধ করে নিজেদের স্বার্থেই তারা তাকে আবারও মেম্বার পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ভোটার।
চারবারের সাবেক এ ইউপি সদস্য ও তার পরিবার এলাকায় একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসাবে পরিচিত। তার দুই ছেলের দু’জনই প্রবাসী এবং প্রতিষ্ঠিত। মেয়েদেরও বিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরেও সম্পদ যা আছে তাতে অনায়াসে সৎভাবে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন তিনি।
তিনি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের কল্যাণ সাধনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের ভাতা ইত্যাদির সঠিক ও পক্ষপাতহীন বন্টনের পাশাপাশি সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধাগুলো যাদের প্রকৃতই প্রাপ্য তাদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে।
আর তাই, সাধারণ মানুষই তাকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনিও তাদের চাওয়াকে সমর্থন জানিয়ে এবার তালা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
ইলিয়াছ আলী ও তার শুভাকাংখীরা খাদিমনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডবাসীকে আগামী ১৬ মার্চের নির্বাচনে সবার কল্যাণে তালা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ইদ্রিছ