ছবি কৃতজ্ঞতা: মাহমুদ হোসেন।

বাংলা পঞ্জিকায় বছরের শেষ মাস চৈত্র। বসন্ত ঋতুরও দ্বিতীয় তথা শেষ মাস এটি। আজ বুধবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে চৈত্র মাস। আর চৈত্রের শুরুতের ঝড়-তুফানের কবলে পড়েছে সিলেট।

আজ বুধবার শেষ রাতের দিকে ঝড়-তুফানের সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে।


গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল, সিলেট অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সিলেটের আকাশ ছিল মেঘলা। থেমে থেমে গর্জন ছিল মেঘেরও। রাতের শেষ দিকে এসে বাড়ে আকাশের গর্জন। শুরু হয় ঝড়-তুফান। সঙ্গে ছিল বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বড় আকারের শিলা পড়ে বিভিন্ন স্থানে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন সিলেটভিউকে জানান, আজ বুধবার শেষ রাত ৪টা ১০ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে চলে ৬টা পর্যন্ত। এ সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

তিনি জানান, এখন প্রাক-মৌসুম (মার্চ-এপ্রিল-মে) চলছে। এটা প্রাক-মৌসুমের বৃষ্টি।

আগামী চার-পাঁচদিন বৃষ্টি এবং  বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছিলেন, ১৫ মার্চ থেকে ১৯ শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তিনি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

এদিকে, ঝড়-তুফানে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, পোস্টার উড়িয়ে নিয়েছে। বিলবোর্ড উপড়ে ফেলেছে।

তবে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। বোরো ধানের ফসলের জন্য বৃষ্টি হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে