বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারী নেত্রী সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেছেন, ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্মবার্ষিকী। শুধু জন্মবার্ষিকীই নয় এই মাসেই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। তাছাড়া ৮মার্চ নারী দিবস ও  ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাঙালি এ তিনটি বিষয় একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না।


বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। তিনি সারা জীবন মানুষের কল্যাণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অবদান রেখেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে শুধু হত্যা করেনি ক্ষমতায় এসে তারা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে জামায়াত সহ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়। এমনকি আমরা তখন জয় বাংলা স্লোগান পর্যন্তও দিতে পারতাম না।
 


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেন। প্রিয় নেত্রীর নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন চলমান রয়েছে। এখনো বিএনপি জামায়াত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদেরকে রুখে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে আপনাদের ভালোবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানের মতোই আরও বেশি বেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে শিশু-কিশোররা উৎসাহ পাবে। তাদের মাধ্যমেই আগামীর প্রধানমন্ত্রীর  স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে।
 

তিনি বলেন, আমরা প্রবীণ হয়ে গেছি। তোমরা যারা নবীন তোমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।

তিনি এই চমৎকার আয়োজনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে তা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
 

শনিবার (১৮ই মার্চ) বিকাল ৪ ঘটিকায় চৌহাট্টস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, কার্যনির্বাহী সদস্য তৌফিক বক্স লিপন।
 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর,  সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।
 

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, মো. শাজাহান, মুক্তার খান,  রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, হাজী এম.এ মতিন, কানাই দত্ত, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, গৌসুল আলম, আব্দুর রব হাজারী, ফয়েজ খান পিয়ারা,  আব্দুল হামিদ, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, এডভোকেট সরওয়ার চৌধুরী আবদাল, আক্তার হোসেন, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন,  ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আনসার আহমদ কয়েছ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, চন্দন রায়, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, রুমেল আহমদ রুমিন, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেমিম, বদরুল ইসলাম, গুলজার  আহমদ জগলু, আনোয়ার হোসেন আনার।
 

অনুষ্ঠানে কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে সনদ পত্র, ক্রেস্ট ও বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বই প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে রাত ৯ঘটিকা পর্যন্ত আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলমান থাকে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৩