অনেক দিন ধরেই পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ইনিংসটা বড় করতে পারছিলেন না তামিম ইকবাল। এই সংস্করণে সর্বশেষ অর্ধশতকটা করেছিলেন গত বছরের আগস্টে, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন।
তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। সিরিজ শেষ হওয়ার একদিন পরই ঢাকায় ফিরে বড় ইনিংস খেলার আক্ষেপ ঘোচালেন তামিম। ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে তামিমের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের করা ১৯৯ রান প্রাইম ব্যাংক টপকে যায় ৭ উইকেট হাতে রেখে।
শুধু তামিম নয়, এদিন প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলেছেন আয়ারল্যান্ড সিরিজ সেরা মুশফিকুর রহিম। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন মুশফিকই। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মিলে গড়েছিলেন অপরাজিত ১১৯ রানের জুটি।
১৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন তামিম। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৫৬ বলে ১০৯ রান করে। মুশফিক করেন অপরাজিত ৩৯ রান। ম্যাচ শেষে তামিম ইকবালও জানিয়েছেন উইকেট বোলারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকার কথা, ‘উইকেট কঠিন ছিল। সঙ্গে তিনটা উইকেট দ্রুত পরে যাওয়াতে আমাদের একটু সময় নিতে হতো। কারণ, লক্ষ্যটা বড় ছিল না।'
২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল প্রাইম ব্যাংক। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে ৭৩ রান তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু ৭৩ থেকে ৮৩-এই ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। ৩১ রান করা মিঠুনের আউট দিয়ে শুরু হয় ধস। সেই ধস অবশ্য বাড়তে দেননি তামিম-মুশফিক।
প্রাইম ব্যাংকের মতো মোহামেডানও ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেছিল। প্রথম ৬ ওভারে ৪৪ রান তুলেছিল ইমরুল কায়েসের দল। এরপর মোহামেডান উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। করেছেন ৪২ বলে মাত্র ১৮ রান। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪২ ওভারে ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস। বল হাতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসির হোসেন। এই নিয়ে ৪ রাউন্ডের মধ্যে ৩টিতেই হেরেছে মোহামেডান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৫