প্রতীকী ছবি

দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় মৃত্যু হয় ১০০ জনের বেশি মানুষের। তবে সঠিক সময়ে যক্ষ্মা নির্ণয় ও সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।


তারা বলেছেন, দেশে গত এক দশকে টিউবার কোলোসিস (টিবি) তথা যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ সময় প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ২০১০ সালে দেশে যক্ষ্মায় আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জনের, যা ২০২০ সালে এসে কমে দাঁড়ায় প্রতি লাখে ২৭ জনে। চিকিৎসা কলেবর বাড়ায় সুস্থতার হার গত ১০ বছর ধরে ৯৫ শতাংশের বেশি আছে বলে জানিয়েছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট। তারা বলছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।



এমন প্রেক্ষাপটে রোগটি সম্পর্কে আরও বেশি জনসচেতনতা বাড়াতে সারা বিশ্বের মতো আজ ২৪ মার্চ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২০২৩। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক ৮৪২ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২১ হাজার ৪৮১ জন, চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ২২ জন, ঢাকায় ৮০ হাজার ১৩৭ জন, খুলনায় ৩৯ হাজার ৭৯৬ জন, ময়মনসিংহে ১৯ হাজার ৪৭ জন, রাজশাহীতে ২৯ হাজার ৩৩৫ জন, রংপুরে ৩১ হাজার ৭০৮ জন ও সিলেটে ২৫ হাজার ৯১৮ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত/পল্লব-২০