যথাযথ মর্যাদায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া'র নেতৃত্বে ওসমানী হাসপাতালের উদ্যোগে দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
 

কর্মসূচিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সিং কর্মকর্তা, সিলেট নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
 


দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল- ২৬ শে মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, হাসপাতাল ভবনে আলোকসজ্জা, সকাল ৬টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৬টা ২০ মিনিটে হাসপাতালের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ।
 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া'র নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ নাসের্স এসোসিয়েশন-বিএনএ, নার্সিং কলেজ, হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংগঠন।
 

সকাল ১০টায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার হলরুমে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া'র সভাপতিত্বে "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন" শীর্ষক  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমান সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দারিদ্র্যতা বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দারিদ্র্যতা হ্রাসের পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ একটি উন্নত-ধনী-স্মার্ট দেশে পরিণত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'
 

এদিকে, ২৫শে মার্চ কালোরাত্রি স্মরণে শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে ১ মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাক-আউট পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন- হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. মাহবুবুল আলম।
 

আরও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র ষ্টোর অফিসার ডা. জলিল কায়সার খোকন, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান, সিনিয়র ষ্টোর অফিসার ডা. সোহেল আল রাফি, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মুস্তাকিম শাফি, সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুদ হোসেন, সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোসাম্মৎ রিনা বেগম, সিলেট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা বেগম, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা আক্তার খাতুন, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামিমা নাছরিন, সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক।
 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- নার্সিং অফিসার ভ্রান্তি বালা দেবী, মোঃ জসীম উদ্দিন সরকার, আনোয়ারা বেগম, নিলুফা ইয়াসমিন, অরবিন্দু চন্দ দাস, মোঃ আমিনুল ইসলাম, আছমা আক্তার খানম, তৃষ্ণা তেরেজা ডি'কস্তা, সুমন চন্দ্র দেব, মোহাম্মদ আব্দুল খালিক, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশান ৮ম কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো: জুয়েল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সীমা মল্লিক, প্রধান সহকারী মোঃ আবুল কাশেম, একাউন্ট অফিসার মোঃ শাহেদ আলী,  পিএটু পরিচালক মো. রুহুল আমিন, ৩য় শ্রেণী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল খয়ের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার সহ হাসপাতালের সর্বস্তরের নার্সিং কর্মকর্তা, নার্সিং কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, হাসপাতালের  বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৪২