ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে সিশেলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জিতলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। হারলেও সিরিজ ড্র হওয়ায় দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এই সিরিজকে সামনে রেখে সৌদি আরবে গিয়ে ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ক্যাম্পিংয়ের সুফল খুব একটা মিললো না।
উল্টো আজ (২৮ মার্চ) সিলেট জেলা স্টেডিয়মে শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে সিশেলস। শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা দুই দলের শুরুর একাদশেই ছিল দুটি করে পরিবর্তন। বাংলাদেশ দলে জামাল ভূঁইয়ার পরিবর্তে রবিউল এবং সজিবের পরিবর্তে নামেন সুমন রেজা।
প্রথমার্ধে গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের কেউই। ম্যাচের ৭ম মিনিটেই ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন রবিউল। তবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল বাইরে চলে যায়। ১৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ড্রিবলিং করে সুমন রেজা ডি-বক্সের ভেতরে পাস দেন তিনি। মজিবুরের দুর্বল শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। তার ওপর আবার ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রিমন হোসেনকে। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আলমগীর। এই ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষিক্ত হলেন তিনি।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে সতীর্থের জন্য গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন আলমগীর। ডি-বক্সের বাম পাশ থেকে আলমগীরের ক্রস ছোট ডি-বক্সে থেকেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রাকিব। পরের মিনিটে রবিউল আবারও সুযোগ হারান। ডি বক্সের লাইন থেকে গোলমুখে শট নেন তিনি। তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক আলভিন বল লুফে নেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ে জোরালো শট নেন তপু বর্মণ। গোলরক্ষক অনেকটা লাফিয়ে গোল বাঁচান কর্ণারের বিনিময়ে।
দ্বিতীয়র্ধের পুরোটা সময়ই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে সিশেলস। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। ৫৪তম মিনিটে মাঝমাঠে ব্রেন্ডন মোলের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন রাকিব। কাউন্টার অ্যাটকে বল নিয়ে ছুটে যান ডি-বক্সে। গোলকিপারকে একাও পেয়ে যান, তবে তার ডান পায়ের শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন সিশেলস গোলরক্ষক।
৬০তম মিনিটে পেনাল্টি পায় সিশেলস। বক্সে সিশেলসের ড্যারিল লুইসকে ফাউল করে বসেন সাদ উদ্দিন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সিশেলসের ডিফেন্ডার মাইকেল মাসিয়েন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে ডান পায়ের শটে বোকা বানান তিনি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বাংলাদেশের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। তপু বর্মনের শট হাতে লাগে সিশেলসের জুনিনহোর হাতে। তবে পেনাল্টি দেননি রেফারি।
৭৬তম মিনিটে ডান প্রান্ড থেকে সোহেল রানার ক্রস বক্সে পেয়ে যান বদলি নামা কিংসলে। তার জোরালো শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৭৯তম মিনিটেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কিংসলে। ৮৬তম মিনিটে বক্সের সামনে থেকে অধিনায়ক জামালের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৮৭তম মিনিটে তপু বর্মনের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে হয়তো জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলের দেখা মিলত কিংসলের।
ম্যাচের পর উত্তাপ ছড়ায় দুই দলের লড়াই। দুই দলের খেলোয়াড়রা হাতাহাতিতে জড়ালে ম্যাচ রেফারি এবং টিম অফিশিয়ালদের হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১