স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি।
তিনি বলেন, সিআইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়। এরপর বেশ কয়েকটি মামলা বিভিন্ন স্থানে হয়েছে সেসব মামলার ভিত্তিতে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত দুই-তিনটির খবর জানি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের পর আইন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল যেভাবে একজন নাগরিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হলো, ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও গতকাল বলেছেন তার কাছে কোনও তথ্য নেই। এই বিষয়গুলো নাগরিকদের মনে ভয়ের উদ্রেগ করে কি না?, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল স্পষ্ট করে বলেছি, একটা সংবাদের ভিত্তিতে দুই একটা মামলা হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু মামলাগুলো কোথায় কখন হচ্ছে, সেটার বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে এখন পর্যন্ত নেই।
তিনি বলেন, আমি এখন বলতে চাই, প্রাথমিকভাবে যে তথ্য ৭১ টিভি ও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বা মিডিয়ায় আসছে, সেগুলো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি তাকে নিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়েও দিয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকটি মামলা বিভিন্ন স্থানে হয়েছে, সেসব মামলার ভিত্তিতে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত দুই তিনটির খবর জানি। আরও মামলা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি।
যদি কেউ ভুল করে থাকে সেটি মামলা হবে, সে বিচারের আওতায় আসবে, কিন্তু যে পদ্ধতির ভেতর দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো সেজন্য গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমরা ভয়ে থাকব কি না?, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি ভয়ে থাকবেন কেন? আপনিতো কোনো দিন মিথ্যা তথ্য দেননি, বিভ্রান্তিকর নিউজ দেননি, কোনো দিন অসত্যকে সত্য করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ করেননি। তাহলে আপনি ভয়ে থাকবেন কেন। আপনি নির্ভয়ে চলবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামে এক আইনজীবী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতেই সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে সিআইডি পুলিশের পরিচয়ে তুলে আনা হয়।
তখন পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছেন গোলাম কিবরিয়া নামে যুবলীগের এক নেতা। ওই মামলার এজাহারও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আজ রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১৩
সূত্র : ঢাকাপোষ্ট