ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার আয়োজন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এ ইফতার অনুষ্ঠান হয়। এতে কূটনৈতিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবীরাও অংশ নেন।
দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তাদের টেবিলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ইফতারের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে আরও অংশ নেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি। তবে, ইফতারে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অংশ না নিলেও দেশটির উপ-হাইকমিশার বিনয় জর্জ অংশ নেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ভারতের হাইকমিশনার অংশ না নিলেও দেশটির উপ-হাইকমিশনারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইফতারে অংশ নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইফতারে মধ্য প্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও অংশ নেন।
ইফতারের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ লড়াই করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অতি সম্প্রতি আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির এ আন্দোলন চলছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আলম নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এএসএম আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, গোলাম আকবর খন্দকার, এনামুল হক চৌধুরী, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কুমার সরকার, আবদুল কাইয়ুম, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্যামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ইশরাক হোসেন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও ইফতারে অংশ নেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-২