এসেছে সিয়াম সাধনার মাস। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া থাকবে না তা কি হয়! তাই রমজানের শুরু থেকেই ইফতার কেনাকাটায় ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে সিলেট নগরবাসীর মধ্যে। কিন্তু সংযমের দেখা নেই ইফতারির বাজারে। ভাজাপোড়া থেকে ফলমূল-সব কিছুরই দাম চড়া।
গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম। বাকি সব খাবার যেমন তেমন, ১০ টাকা হালি কলার দাম ৩০-৪০ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতা। ছোলা, মুড়ি, কাবাব, হালিম- সব কিছুরই যথেচ্ছ দাম চাইছেন বিক্রেতারা। বাধ্য হয়েই আকাশছোঁয়া দামেই ইফতারি কিনছেন রোজাদাররা।
এদিকে দাম বাড়লেও ইফতারির বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। জিন্দাবাজারে আসা সাঈদ বলেন, বাজারে ইফতারের দাম বাড়তি তবে 'কী আর করা, ইফতার তো করতে হবে।'
মাংস সহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, এ অজুহাতে ইফতারের দামও বাড়তি। জিন্দাবাজারস্থ রাজবাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, চিকেন বোম্ব রোস্ট প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় একেই ভাবে কোয়েল প্রতি পিস ১৭০ টাকা, চিকেন ললিপপ ৮০ টাকা, চিলেন সাসলিক ১২০ টাকা, চিকেন টিক্কা ৩০ টাকা, শম্মী কাবাব ৪০ টাকা, চিলেন ডামিস্টিক ১০০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব ৬০ টাকা, লাল শাকের বড়া প্রতি পিস ১৫ টাকা, চানা প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পেয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা, বেগুনি ১০ টাকা, আলু চিপস ৭ টাকা, আলুর চপ ১২ টাকা, ডিম চপ ৩০ টাকা, চিকেন কার্ডলেট ৫০ টাকা, বিফ কোপ্তা ৬০ টাকা, চিকেন পাকুরা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে দাম আর মানের বিষয়ে রাজ বাড়ির ম্যানেজার সৈয়দ আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেল, চিনি, ডাইল, মাংস সহ নিত্যেপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেড়েছে তাই ইচ্ছা না থাকার পরেও ক্রেতাদের কাছে চড়া দাম চাইতে হচ্ছে। তবে আমাদের সবটুকু খাবার স্বাস্থ্যসম্মত, আমাদের এখানে সবগুলো খাবারে ভালো তেল ব্যবহার করি। তারমাঝে বিরিয়ানি তৈরিতে ফ্রেশ তেল ব্যবহার করি এবং বাকি যে ভাজাপোড়ার আইটেম গুলো হয় তাতে পিওর তেল ব্যবহার হয়। আমরা একটা খাবার তৈরি করার পর যে পুড়া তেল তাকে তা আর অন্য খাবারে ব্যবহার করি না।
ফিজার স্টাফ মো. সাফলু আহমদের কাছে দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও একেই কথা বলেন, যে সবকিছুর দাম বেড়েছে তার অনুপাতেই ইফতারের দাম রাখা হচ্ছে। ক্রেতাদের থেকে অতিরিক্ত কোনো দাম রাখা হচ্ছে না।
আম্বরখানার বাসিন্দা রেজওয়ান আহমদ জানান, সারাদিন রোজা রেখে ভাজাপোড়া খাওয়াটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তারপরও অনেকেই বাধ্য হয়ে খান, কারন একমাত্র রমজান মাসেই ইফতারির দোকান গুলোতে বেশিরভাগেই ভাজাপোড়া তৈরি করি তাও একেই তেল দিয়ে। আর এসব খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। তাই আমি প্রতি বছরই চেষ্টা করি ঘরে তৈরি করা খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পরিবারের সাথে ইফতার করি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/পল্লব/এসডি-০৪