ভুঁড়ি বেড়ে গেলে হাঁটাচলা, কাজকর্ম সব কিছুই যেন কঠিন হয়ে যায়। কমে যায় কর্মোদ্যম। একটুতেই হাঁপিয়ে যেতে হয়। একবার ভুঁড়ি বাড়তে থাকলে তা কমানোও মুশকিল হয়ে যায়। এসব হয় অনিয়ন্ত্রিত খাবার-দাবার এবং জীবনযাপনে বাড়ে শরীরের মেদ। বেড়ে যায় ভুঁড়ির আকৃতিও।

কিন্তু এই পৃথিবীতে অসম্ভব বলেও কিছু নেই। তাই ভুঁড়ি কমানোও অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাঁচটি কাজ করলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ভুঁড়ি। আলাদা করে নাকি কিছু করতেই হবে না। চলুন জেনে আসি কী সেই কাজগুলো।


খাওয়া ও ঘুম
রাতের খাওয়াদাওয়া ও ঘুমানোর মধ্যে সময়ের তফাৎ রাখুন। এক বা দুই ঘণ্টা নয়, অন্তত তিন ঘন্টা রাখুন এই তফাৎ। অর্থাৎ, ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান। খাওয়াদাওয়ার পরের তিন ঘণ্টা নানা কাজ সারুন। তারপর ঘুমাতে যান।

রাতে হালকা খাবার
রাতের বেলা অনেকেই বেশ ভারী খাবার খান। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা রাতের বেলা যতটা সম্ভব হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতেই নাকি ওজন কমবে তরতরিয়ে।

গরম পানি পান করুন
রাতে ঘুমানোর আগে একটি জরুরি কাজ হলো গরম পানি পান করা। হালকা গরম পানি খেয়ে তবিই ঘুমাতে যান। কারণ, গরম পানি হজমশক্তি ভালো রাখে। এতে ঘুমটাও ভালো হবে‌। ওজনটাও কমবে।

বই পড়ুন
ঘুমানোর আগে একটা পছন্দের বই বেছে নিন। সেই বইটি পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ঘুমটাও ভালো হয়। আর স্ট্রেস বা মানসিক চাপও বাড়ে না। মানসিক চাপ না বাড়লে ওজনও ঠিক থাকে।

হলুদ দিয়ে দুধ
দুধের মধ্যে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে দিন। তারপর দুধটা খেয়ে শুয়ে পড়ুন।‌ বিশেষজ্ঞদের কথায়, এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেট ভালো থাকে, ঘুমও ভালো হয়। সঙ্গে ওজন তো কমেই! তাই যারা সহজে ভুঁড়ি কমাতে চান, তারা এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি