সরকার সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সরকার মামলা করেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (২ এপ্রিল) মতিঝিলে ডিসিসিআই-এ একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  
 

মন্ত্রী বলেন, এখানে সাংবাদিকদের বিচার করতে হবে। শিশুর হাতে প্ল্যাকার্ড তুলে দিয়ে, ১০ টাকা দিয়ে কথা বলানোর মধ্যে দিয়ে দেশের মর্যাদা হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, কিনা? আমার মনে হয় সাংবাদিকদেরও বিচারকের পজিশনে দাঁড়াতে হবে ।  


ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের উদ্বেগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এ আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছে। সেটা যাতে রোধ করা যায় যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসেছি। সেখানে বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। আলোচনায় টেকনিক্যাল নোট এসেছে, সেটা খতিয়ে দেখছি।  

‘সাংবাদিকরা যাতে অযথা হয়রানি না হয়, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছলাম। ’ বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা ১৪ মার্চ সুধী সমাজের সঙ্গে কথা হয়েছি। তাদের কথা শুনেছি। সেখানে আমরা বলেছি আমাদেরও কিছু কথা রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ৩০ মার্চ দিন ঠিক ছিল, কিন্তু বিষয়টি পরে স্থগিত হয়ে যায়। এই আলোচনা মধ্য এপ্রিলে হওয়ার কথা রয়েছে।  

‘এইসব আলোচনা শেষে যদি মনে হয় ডিজিটাল অ্যাক্টিটির অপব্যবহার হচ্ছে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় সেটাও আমরা করব। ’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, তবে এটা সত্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সারাবিশ্বে সাইবার অপরাধ হচ্ছে, অপরাধ হচ্ছে। এ অপরাধ রোধে আইনও রয়েছে। তবে ভিন্ন নামে।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৪