সিলেটের রাস্তায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। আর ইফতারের ঠিক আগে যানজটের যন্ত্রণা আরও বেশি বেড়ে যায়। নগরবাসীকে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। আধা ঘণ্টার পথ যেতে দ্বিগুন সময় লাগছে। যানজটে আটকা পড়ে অনেককে ইফতার করতে হচ্ছে রাস্তায়।
 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইফতারের আগে ঘরমুখো মানুষের জন্য রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে অধিকাংশ ইফতার সামগ্রী বেচাকেনা দোকান বসেছে। যার ফলে যানজট লাগছে।
 


রোজার মাসে অফিস বা দিনের কাজ শেষে সবাই সময়মতো ঘরে ফিরতে চান। পরিবারের সঙ্গে অংশ নিতে চান ইফতারে। সেজন্য একটু তাড়াহুড়ো করেই কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিং যোগে গন্তব্যের দিকে ছোটেন। কিন্তু সবকিছু যেন থমকে দাঁড়ায় যানজটের কবলে।
 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট মহানগরীরর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অস্থায়ী ইফতারের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা যার ফলে রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
 

টিলাগড়ের বাসিন্দা জাহিদ জানান, অফিস শেষে বিকেলে বাসায় ফিরেন তিনি। কিন্তু প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে বন্দরবাজার থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত দীর্ঘ যানযটে পরতে হয়ে তাকে। অনেক সময় রাস্তায় ইফতার করতে হয় তাকে।
 

আম্বরখানার বাসিন্দা নিপু জনান, জিলাপি কেনতে এসেছেন তিনি। এই এলাকার প্রায় সব অস্থায়ী দোকানগুলো রাস্তা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। তাই ইফতার সামগ্রী কিনতে গিয়ে রাস্তা ব্লক হয়ে যায়।
 

মদিনা মার্কেটের সিএনজি চালক নয়ন জানান, বিকেলে অধিকাংশ মানুষের অফিস বা কাজ শেষ হয়। ইফতারের আগে সবাই বাসায় ফিরতে চান। তাই রাস্তায় মানুষের চাপ বাড়ে, একই সাথে রাস্তা গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই এই সময়টিতে যানজট বেশি লাগে।
 

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের জন্য সবারই বাসায় ফেরার তাড়া থাকে। রিকশা ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারে অন্যান্য গাড়িগুলোকে চলতে হয় ধীরগতিতে। সিগন্যাল ছাড়লেও রিকশা ও পথচারীদের চাপে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তখনই যানজট লাগে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত/এসডি-০৯