মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বোন-ভাগনা কর্তৃক জাল দলিল করে ভূমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন মামী কুলসুম আক্তার কলি।
তিনি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী মোহাম্মদ আলী অনেকদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি জীবিতাবস্থায় ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে তার মালিকানাধীন (পৈতৃকসূত্রে পেয়ে প্রায় ৫০ বছর থেকে ভোগ-দখল করে আসা) জেলা: মৌলভীবাজার, উপজেলা: জুড়ী, মৌজা: জাঙ্গিরাই, জেএল নং- এসএ-২৪, আরএস- ২১, এসএ খতিয়ান নং- ২৮, আরএস ডিপি খতিয়ান নং- ১৭৩৭ ও ২১০৩, এসএ দাগ নং- ৪১২৩, আরএস দাগ নং- ৬১৯৬ আমন রকম ২১ শতক ভূমি ৫৬৪ নং দলিল মূলে আমার নামে হেবা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০২১ সালে উক্ত ভূমি হতে ৫ শতক ভূমি বিক্রি করে আমি আমার স্বামীর চিকিৎসা কাজে ব্যয় করি। বাকী ১৬ শতক ভূমি আমি নিজ দখলে ভোগ করছি। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আমার স্বামী মারা যান। এর দুই মাসের বেশি সময় পর গত ১২ মার্চ আমি উক্ত জমিতে সবজি খেতে বেড়া দিতে যাই। তখন আমার স্বামীর বোন বেলাগাঁও গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর স্ত্রী জমিলা বেগম, তার পুত্র হারিছ আলী ওরফে হারিস মোহাম্মদ ও জমির আলী আমার কাজে বাঁধা প্রদান করে। একটি জাল দলিলের নকল কপি (নং- ৬৮৫৪/২০১২) ফটোকপি আমাকে দিয়ে জমিটি তাদের দাবি করে এবং আমাকে গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় মুরব্বীদের অবগত করলে বিবাদীগণ দাঙ্গাবাজ ও দুষ্ট প্রকৃতির হওয়ায় তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করি। পরিষদ হইতে বিবাদীদের তলব করিলে তাহারা কর্ণপাত করেনি। তাদের প্রদর্শিত দলিল ২০১২ সালের। এর পর দশ বছরের অধিক সময় আমার স্বামী বেচে ছিলেন। তখন ওরা জমি দাবি করে নি। কিন্তু তিনি মারা যাবার দুই মাস পর জমি দাবি করে।
তিনি বলেন, বিবাদী হারিছ আলী এলাকায় জুয়া, সুদ ব্যবসা ও গরু চুরিসহ বেশ কিছু সামাজিক অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় কয়েকটি মামলার আসামী ও জেল খেটেছে। তার ভাই জমির আলী এলাকায় চিহ্নিত মাদকসেবী। তাদের দাপটে আমি এক বিধবা মহিলা অসহায়ত্বে ভোগছি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওরা আমার সম্পত্তি আত্মসাতে লিপ্ত রয়েছে। যে কোন সময় আমার উপর হামলা করে কিংবা জোর পূর্বক আমার জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে বলে মানুষের নিকট প্রচার করছে।
কুলসুম আক্তার কলি’র পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার ভাসুর পুত্র সাইফুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার বোন আখলিমা আক্তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হারিছ আলী ওরফে হারিস মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমার মা তার পৈতৃক সম্পত্তি পান প্রায় তিন কিয়ার। কিন্তু আমার মামা ২০১২ সালে ১৯ শতক জমি আমার মা’র নামে লিখে দেন। বাকী সম্পত্তি গুলো আমরা আদালতে মামলা করে উদ্ধার করব। তাছাড়া দলিল জাল না আসল সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/মঞ্জুরে/এসডি-০৪