দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানে ঘিরে রেখে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। শনিবার (৮ এপ্রিল) চীনের নৌ, বিমান ও স্থল সেনারা এ মহড়া শুরু করেন। তাইওয়ানকে কখনো শাসন না করলেও বেইজিং দাবি করে এটি তাদের অংশ। শনিবারের মহড়া শুরুর পর দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি তাইওয়ানের সরকারের প্রতি ‘কঠোর সতর্কতা।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পরই এ মহড়া শুরু করে চীন।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে চীনের ৪২টি সামরিক বিমান এবং আটটি যুদ্ধ জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যবর্তী লাইন অতিক্রম করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে সামরিক মহড়ায় ‘টহল দেওয়া, তাইওয়ান দ্বীপের দিকে এগিয়ে যাওয়া, তাইওয়ানকে ঘিরে ধরা এবং প্রতিরোধ ভেদ করার’ বিষয়গুলো মহড়া দেওয়া হবে।
এছাড়া এ মহড়ায় ‘দূরপাল্লার কামান, নৌযান ডেস্ট্রয়ার, ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ, বিমান বাহিনীর সেনা, বোম্বার্স, জ্যামার্স এবং রিফুয়েলার’ মোতায়েন করেছে চীনের সেনাবাহিনী।
চীনের দাবি সত্ত্বেও তাইওয়ান নিজেদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে দেখে। এছাড়া দেশটির নিজস্ব সংবিধান ও সরকারও রয়েছে। কিন্তু চীন এটিকে নিজের অংশ হিসেবে দেখে। বেইজিং হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে— এজন্য প্রয়োজন হলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হুমকির সুরে বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনর্মিলনের বিষয়টি অবশ্যই পূরণ হতে হবে।
মূলত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে দেখা করার পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন দেশে ফেরার পরই তাইওয়ানকে ঘিরে মহড়া শুরু করে বেইজিং।
‘ইউনাইটেড শার্প সোর্ড’ নামে শুরু হওয়া চীনের এ মহড়া আগামী সোমবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।
চীন সামরিক মহড়া চালিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও তাইওয়ান শান্তভাবে এর জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর আগে গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে এসেছিলেন। তিনি তাইওয়ান ছাড়ার পরই দ্বীপটিকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মহড়া চালায় বেইজিং।
সূত্র: বিবিসি
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১০