পয়েন্টের চারদিকে যাওয়া চারটি রাস্তায়-ই তীব্র যানজট। যানবাহনগুলোর দীর্ঘ লাইনে আছে অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে নারী-শিশুদের। তবে যানজটে আটক পড়া মানুষের ক্ষোভ- রাস্তার পাশে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা গাড়িগুলোর চালকদের উপর।
 

দৃশ্যটি সিলেট মহানগরের ব্যস্ততম জিন্দাবাজার পয়েন্টের, শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলের।


আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কয়েক দিন ধরে সিলেট মহানগরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কেনাকাটার জন্য বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়ছে। বিভাগীয় শহর হওয়ায় পাশের জেলা ও উপজেলা থেকেও মানুষজন ঈদের কেনাকাটা করতে আসছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য সময়ের তুলনায় যানজট বেড়েছে।
 

শনিবার বিকেলে মহানগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, নাইওরপুল, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ ও লামাবাজার এলাকায় তীব্র যানজট। বিশেষ করে- জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার ও সুরমা মার্কেট এলাকার ফুটপাত বেদখল এবং রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে এই যানজট।

আর এই ফুটপাত বেদখল এবং রাস্তায় অবৈধ পার্কিং নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই। জিন্দাবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে তাদের পাশেই অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। শুধু হাত তুলে পয়েন্টে গাড়ি আটকানো আর ছাড়ার মধ্যেই তাদের যেন দায়িত্ব পালন- এমনটাই মন্তব্য ক্ষুব্ধ নগরবাসীর।
 

যদিও পুলিশ বলছে- অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে তারা নিয়মিত অভিযান দেন।

অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, যানবাহনের আধিক্য, ফুটপাত বেদখল এবং অধিকাংশ বিপণিবিতানে পার্কিং না থাকার কারণে সিলেট নগরে বছরজুড়েই যানজটের দুর্ভোগ লেগে থাকে। তবে এখন ঈদের আগে কেনাকাটা সারতে নগরের পাশাপাশি বাইরের লোকজন শহরে আসায় যানজট বেড়েছে। কিছুদিন পর ঈদের কেনাকাটায় মানুষের চলাচল আরও বাড়বে এবং তখন যানজটের দুর্ভোগ মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছাবে বলে নগরের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।
 

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব শনিবার সিলেটভিউ'কে বলেন, ঈদের কারণে সিলেট মহানগরে যানজট কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে কাজ করছে পুলিশ।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম /এসডি-১০