সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার শিশুটি নিখোঁজ হবার দুদিন পর ওসমান গণি ওরফে আলী হামযা নামের ওই শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
 
সোমবার দুপুরে উপজেলার নতুন জগদল গ্রামের পাশ্ববর্তী ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওসমান গণি ওরফে আলী হামযা নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজাহিদ (১৪) কে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশু ও আটক মুজাহিদ গত শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টার পর  থেকে নিখোঁজ ছিল। তাদের দুজনের সন্ধান চেয়ে গ্রামের মসজিদে মাইকিং করাসহ ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়। তবে ওই রাতেই ১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বোরো জমিতে গায়ে কাঁদামাটি মাখানো অবস্থায় মুজাহিদের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। 


ওইসময়ে নিখোঁজ শিশুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কিছু জানে না বলে জানায়। সোমবার সকালে গ্রামের জনৈক কৃষক গরুর ঘাস আনতে হাওরে গিয়ে বিন্দা বিলে ভাসমান লাশ দেখতে পান। এরপর স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেন। 

দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করলে স্বজনরা তার লাশটি শনাক্ত করেন। নিহত শিশুর পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছেলে শনিবার সন্ধ্যায় মুজাহিদের সাথে ছিলো। এরপর দুজনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকি। রাত ১ টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বোরো জমিতে মুজাহিদকে উঁকিঝুকি দিতে দেখি। তৎক্ষনাৎ তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। এসময় তার পরণের প্যান্ট ভেজা ও গায়ে কাঁদামাটি মাখানো ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে আমার ছেলের সন্ধান সে জানে না বলে জানায়। তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। পাড়া প্রতিবেশীরা দেখেছেন, দুদিনের মধ্যে সে ঘর থেকে বের হয়নি। তিনি বলেন, মুজাহিদ আমার ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে না এটা হত্যা না দুর্ঘটনা। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / হিল্লুল / ডি.আর