সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, “নিশি রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে রাখা আওয়ামী লীগ বেপরোয়া লুটপাট ও দুর্ণীতির মাধমে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারনে মানুষ পেট ভরে খেতে পারছে না। গণমাধ্যমে একটি জরিপে এসেছে একজন মানুষের মোট আয়ের ৪৬ শতাংশই শুধুমাত্র খাদ্যচাহিদা পুরন করতে ব্যায় হয়ে যাচ্ছে।
এমন আবস্থায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দেশে আজ তেল নেই, বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই। চারিদিকে শুধু নেই আর নেই। এভাবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এমন অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আর এজন্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষনা করেন তার বাস্তবায়ন করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বৃহষ্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনা বাড়াতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, “বিএনপির চলমান গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। দেশবাসীর ন্যায্য দাবী আদায়ে বিএনপি রাজ পথে আছে, জনগনকে সাথে নিয়ে ১০ দফা দাবী আদায় করে বাকশালী সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। সর্বগ্রাসী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শাহাব উদ্দিন ও ইকবাল বাহার চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল ও কোহিনূর আহমদ, বিএনপি নেতা ডাঃ এনামুল হক, এ্যাড মোস্তাক আহমদ, মাহবুব আলম, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, শামসুর রহমান সুজা, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, সাহেদ খাঁন স্বপন, মিজানুর রহমান, রিফল আহমদ, জুয়েল আহমদ, আলী আব্বাস, রাসেল আহমদ প্রমুখ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০৫